HS 2025 Chemistry Suggestion PDF – জীব অণুসমূহ Best Notes

জীব অণুসমূহ(Biomolecules) হলো সেই রাসায়নিক যৌগগুলি যা জীবদেহ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য HS 2025 Chemistry Suggestion Pdf অনুসারে জীব অণুসমূহ অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অধ্যায়ে প্রধানত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিড, এনজাইম ও হরমোন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই নিবন্ধে আমরা এই বিষয়গুলোর গভীর বিশ্লেষণ করব, যা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।

কার্বোহাইড্রেট

কার্বোহাইড্রেট হল প্রাকৃতিক জৈব যৌগ যা মূলত কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), এবং অক্সিজেন (O) দ্বারা গঠিত। এগুলো আমাদের শরীরের শক্তির প্রধান উৎস।

HS 2025 Chemistry Suggestion PDF চ্যাপ্টার অনুযায়ী সমস্ত pdf গুলো পেতে Click here

কার্বোহাইড্রেটের শ্রেণীবিভাগ

কার্বোহাইড্রেট প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত:

1. মনোস্যাকারাইড (Monosaccharides) – একক চিনি (simple sugar) যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাক্টোজ।
2. অলিগোস্যাকারাইড (Oligosaccharides) – ২-১০টি মনোস্যাকারাইড সংযুক্ত থাকে। যেমন সুক্রোজ, ল্যাকটোজ, মাল্টোজ।
3. পলিস্যাকারাইড (Polysaccharides) – ১০টির বেশি মনোস্যাকারাইড একত্রিত হয়ে গঠিত। যেমন স্টার্চ, সেলুলোজ, গ্লাইকোজেন।

অ্যালডোজ ও কিটোস

• অ্যালডোজ (Aldose): যে মনোস্যাকারাইডে আলডিহাইড (-CHO) গ্রুপ থাকে, তাকে অ্যালডোজ বলে। যেমন গ্লুকোজ।
• কেটোস (Ketose): যে মনোস্যাকারাইডে কিটোন (-CO) গ্রুপ থাকে, তাকে কেটোস বলে। যেমন ফ্রুক্টোজ।

ডি-এল কনফিগারেশন

গ্লুকোজের মতো মনোস্যাকারাইডের ডি (D) বা এল (L) কনফিগারেশন নির্ধারিত হয় তাদের শেষ চতুর্মুখী কার্বন পরমাণুর উপর ভিত্তি করে। D-গ্লুকোজ প্রকৃতিতে বেশি প্রচলিত।

গুরুত্বপূর্ণ পলিস্যাকারাইড

1. স্টার্চ (Starch) – উদ্ভিদের শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যম।
2. সেলুলোজ (Cellulose) – উদ্ভিদের কোষপ্রাচীর গঠনের প্রধান উপাদান।
3. গ্লাইকোজেন (Glycogen) – প্রাণীদের লিভারে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য সংরক্ষিত কার্বোহাইড্রেট।

কার্বোহাইড্রেটের গুরুত্ব

• এটি শক্তির প্রধান উৎস।
• গ্লুকোজ রক্তের মাধ্যমে শরীরের কোষে সরবরাহ করা হয়।
• স্নেহ ও প্রোটিনের বিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

HS 2025 Chemistry Suggestion PDF : তড়িৎ রসায়ন

গ্লুকোজের বিক্রিয়া

গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এটি মূলত অ্যালডিহাইড (-CHO) ও হাইড্রোক্সিল (-OH) গ্রুপযুক্ত একটি যৌগ, যা বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন বিক্রিয়া করতে পারে। নিচে এর গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়াগুলো দেওয়া হলো।

১. ফেহলিং ও ব্যেনেডিক্ট পরীক্ষায় বিক্রিয়া

ধরন: অক্সিডেশন বিক্রিয়া

বিক্রিয়ার সমীকরণ:
C₆H₁₂O₆ + 2Cu²⁺ + 2OH⁻ → C₆H₁₂O₇ + Cu₂O (লাল অবক্ষেপ)

বৈশিষ্ট্য:

• গ্লুকোজ ফেহলিং বা ব্যেনেডিক্ট দ্রবণের সাথে গরম করলে লাল রঙের কপার (I) অক্সাইড (Cu₂O) গঠিত হয়।
• এটি গ্লুকোজের আলডিহাইড (-CHO) গ্রুপের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

২. টোলেনস বিক্রিয়া (Silver mirror test)

ধরন: অক্সিডেশন বিক্রিয়া

বিক্রিয়ার সমীকরণ:
C₆H₁₂O₆ + 2[Ag(NH₃)₂]⁺ + 2OH⁻ → C₆H₁₂O₇ + 2Ag↓ + 2NH₃ + H₂O

বৈশিষ্ট্য:

• টোলেনস দ্রবণ (Silver Nitrate + Ammonia) দিয়ে পরীক্ষা করলে গ্লুকোজের আলডিহাইড গ্রুপ ধাতব রূপা (Ag) তে পরিণত হয়।
• পরীক্ষার পর টেস্ট টিউবের গায়ে চকচকে রুপার আস্তরণ পড়ে।

HS 2025 Chemistry Suggestion PDF : Group 16

৩. গ্লুকোজের হাইড্রোজেনেশন বিক্রিয়া

ধরন: হ্রাস (Reduction) বিক্রিয়া

বিক্রিয়ার সমীকরণ:
C₆H₁₂O₆ + H₂ → C₆H₁₄O₆ (D-Sorbitol)

বৈশিষ্ট্য:

• গ্লুকোজে নিকেল (Ni) অনুঘটকের উপস্থিতিতে হাইড্রোজেন (H₂) যোগ করলে এটি D-Sorbitol (একটি সুগার অ্যালকোহল)-এ পরিণত হয়।
• D-Sorbitol খাদ্যশিল্পে মিষ্টিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৪. গ্লুকোজের অ্যাসিটাইলেশন বিক্রিয়া

ধরন: এসিটাইল প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া

বিক্রিয়ার সমীকরণ:
C₆H₁₂O₆ + (CH₃CO)₂O → Pentaacetyl Glucose

বৈশিষ্ট্য:

• অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রাইড ((CH₃CO)₂O) ব্যবহার করলে গ্লুকোজের প্রতিটি -OH গ্রুপ এসিটাইল (-COCH₃) দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
• এই বিক্রিয়ার ফলে পেন্টা-অ্যাসিটাইল গ্লুকোজ গঠিত হয়।

৫. গ্লুকোজের ওসাজন বিক্রিয়া

ধরন: ওসাজন গঠন বিক্রিয়া

বিক্রিয়ার সমীকরণ:
C₆H₁₂O₆ + 3PhNHNH₂ → Glucosazone + 3H₂O

বৈশিষ্ট্য:

• গ্লুকোজ ফেনাইলহাইড্রাজিন (Phenylhydrazine) এর সাথে বিক্রিয়া করে গ্লুকোজাজোন (Glucosazone) গঠন করে।
• গ্লুকোজাজোনের স্ফটিকের আকার সূর্যমুখী ফুলের মতো হয়।

৬. গ্লুকোজের ফারমেন্টেশন বিক্রিয়া

ধরন: এনজাইম-নিয়ন্ত্রিত গ্লাইকোলাইসিস

বিক্রিয়ার সমীকরণ:
C₆H₁₂O₆ → 2C₂H₅OH + 2CO₂

বৈশিষ্ট্য:

• ইস্ট (Yeast) বা জাইমেজ (Zymase) এনজাইমের সাহায্যে গ্লুকোজ ভেঙে ইথানল (C₂H₅OH) ও কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) তৈরি হয়।
• এটি অ্যালকোহল প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।

৭. গ্লুকোজের সম্পূর্ণ দহন বিক্রিয়া

ধরন: জারণ (Oxidation) বিক্রিয়া

বিক্রিয়ার সমীকরণ:
C₆H₁₂O₆ + 6O₂ → 6CO₂ + 6H₂O + শক্তি (ATP)

বৈশিষ্ট্য:

• গ্লুকোজের সম্পূর্ণ দহন হলে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂), জল (H₂O) ও শক্তি উৎপন্ন হয়।
• এটি কোষীয় শ্বসনের (Cellular Respiration) গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

৮. গ্লুকোজের নাইট্রিক অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া

ধরন: শক্তিশালী অক্সিডেশন বিক্রিয়া

বিক্রিয়ার সমীকরণ:
C₆H₁₂O₆ + HNO₃ → Saccharic Acid

বৈশিষ্ট্য:

• গ্লুকোজের অ্যালডিহাইড (-CHO) ও প্রাথমিক অ্যালকোহল (-CH₂OH) গ্রুপ নাইট্রিক অ্যাসিড দ্বারা অক্সিডাইজড হয়ে স্যাকারিক অ্যাসিড তৈরি করে।
• এটি গ্লুকোজ শনাক্তকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

গ্লুকোজের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি খাদ্য, ওষুধ ও জৈব রসায়নে ব্যবহার করা হয়।

প্রোটিন (Proteins)

প্রোটিন হল অ্যামিনো অ্যাসিডের (Amino Acids) পলিমার যা বিভিন্ন জৈবিক কার্যক্রম সম্পাদন করে।

এমিনো অ্যাসিড (Amino Acid)

প্রোটিনের গঠনগত একক হলো এমিনো অ্যাসিড। এগুলোতে অ্যামিন (-NH₂) ও কার্বক্সিল (-COOH) গ্রুপ থাকে। ২০টি সাধারণ এমিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা প্রোটিন গঠনে ব্যবহৃত হয়।

পেপটাইড বন্ড (Peptide Bond)

দুই বা ততোধিক এমিনো অ্যাসিড পরস্পরের সাথে পেপটাইড বন্ড দ্বারা যুক্ত হয়ে পলিপেপটাইড (Polypeptide) গঠন করে।

প্রোটিনের গঠন

1. প্রাথমিক গঠন (Primary Structure) – এমিনো অ্যাসিডের বিন্যাস।
2. গৌণ গঠন (Secondary Structure) – আলফা-হেলিক্স ও বিটা-শীট গঠন।
3. তৃতীয় গঠন (Tertiary Structure) – প্রোটিনের ভাঁজযুক্ত আকৃতি।
4. চতুর্মুখী গঠন (Quaternary Structure) – একাধিক পলিপেপটাইড চেইনের সমন্বয়ে তৈরি কাঠামো।

প্রোটিনের বিকৃতকরণ

তাপ, pH পরিবর্তন বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে প্রোটিনের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হলে তাকে বিকৃতকরণ (denaturation) বলে।

এনজাইম ও হরমোন

এনজাইমের শ্রেণীবিভাগ ও কাজ

এনজাইম হল জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার অনুঘটক।

গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম:

• অ্যামাইলেজ (Amylase) – স্টার্চ ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি করে।
• প্রোটিয়েজ (Protease) – প্রোটিন ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে।
• লিপেজ (Lipase) – ফ্যাট ভেঙে ফ্যাটি অ্যাসিড ও গ্লিসারল তৈরি করে।

হরমোনের শ্রেণীবিভাগ ও কাজ

হরমোন হল রাসায়নিক বার্তাবাহক যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

গুরুত্বপূর্ণ হরমোন:

• ইনসুলিন (Insulin) – রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।
• অ্যাড্রেনালিন (Adrenaline) – জরুরি পরিস্থিতিতে শক্তি সরবরাহ করে।
• থাইরক্সিন (Thyroxine) – বিপাক হার নিয়ন্ত্রণ করে।

লিপিড ও ভিটামিন

লিপিডের শ্রেণীবিভাগ

লিপিড প্রধানত তিন প্রকার:

1. সাধারণ লিপিড (Simple Lipids) – ফ্যাট ও তেল।
2. যৌগিক লিপিড (Compound Lipids) – ফসফোলিপিড, যা কোষ ঝিল্লির অংশ।
3. উৎকৃষ্ট লিপিড (Derived Lipids) – কোলেস্টেরল ও স্টেরয়েড।

ভিটামিনের শ্রেণীবিভাগ ও কার্যাবলী

• জলদ্রবণীয় ভিটামিন: ভিটামিন B, C – বিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
• স্নেহদ্রবণীয় ভিটামিন: ভিটামিন A, D, E, K – দৃষ্টিশক্তি, হাড়ের বৃদ্ধি ও রক্ত জমাট বাঁধায় ভূমিকা রাখে।

HS 2025 Chemistry Suggestion PDF : Group 15

ভিটামিনের অভাব

ভিটামিন আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালানোর জন্য অপরিহার্য। তবে ভিটামিনের অভাব হলে ঘাটতিজনিত রোগ (Deficiency Diseases) হয়, আবার অতিরিক্ত গ্রহণ করলে টক্সিসিটি (Toxicity) ঘটতে পারে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলোর অভাব ও অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে যে রোগ হয়, তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

১. ভিটামিন A (রেটিনল, Retinol)

অভাবজনিত রোগ:

• রাতকানা (Night Blindness)
• চোখের শুকনোভাব (Xerophthalmia)
• ত্বকের শুষ্কতা ও সংক্রমণ প্রবণতা বৃদ্ধি

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• মাথাব্যথা, বমি
• লিভারের সমস্যা
• হাড়ের দুর্বলতা

২. ভিটামিন B কমপ্লেক্স

(ক) ভিটামিন B1 (থায়ামিন, Thiamine)

অভাবজনিত রোগ:

• বেরিবেরি (Beriberi) – পেশি দুর্বলতা, হৃদযন্ত্রের সমস্যা
• ওয়েরনিকি-কর্সাকফ সিনড্রোম (Wernicke-Korsakoff Syndrome) – মস্তিষ্কের সমস্যা

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• বিরল, তবে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে।

(খ) ভিটামিন B2 (রিবোফ্ল্যাভিন, Riboflavin)

অভাবজনিত রোগ:

• চেহারায় ফাটা দাগ (Cheilitis)
• জিহ্বার লালচে ভাব (Glossitis)
• চোখে জ্বালা ও আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• সাধারণত ক্ষতিকর নয়, কারণ এটি মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।

(গ) ভিটামিন B3 (নিয়াসিন, Niacin)

অভাবজনিত রোগ:

• পেলাগ্রা (Pellagra) – ত্বকের ক্ষত, ডায়রিয়া, ডিমেনশিয়া

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• ত্বকের লালচে ভাব ও চুলকানি (Niacin Flush)
• লিভারের সমস্যা

(ঘ) ভিটামিন B5 (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড)

অভাবজনিত সমস্যা:

• ক্লান্তি, মাথাব্যথা
• পায়ের জ্বালাপোড়া

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• ডায়রিয়া ও পানিশূন্যতা হতে পারে।

(ঙ) ভিটামিন B6 (পাইরিডোক্সিন)

অভাবজনিত রোগ:

• খিঁচুনি (Seizures)
• রক্তশূন্যতা (Anemia)

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• স্নায়ুর ক্ষতি, হাত-পায়ের অবশতা

(চ) ভিটামিন B7 (বায়োটিন, Biotin)

অভাবজনিত সমস্যা:

• চুল পড়া (Hair Loss)
• ত্বকের সমস্যা (Dermatitis)

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• সাধারণত ক্ষতিকর নয়।

(ছ) ভিটামিন B9 (ফোলিক অ্যাসিড)

অভাবজনিত রোগ:

• রক্তশূন্যতা (Megaloblastic Anemia)
• জন্মগত ত্রুটি (Neural Tube Defects)

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• ভিটামিন B12-এর অভাবজনিত সমস্যাগুলো লুকিয়ে যেতে পারে।

HS 2025 Chemistry Suggestion PDF : Group 17 & 18

(জ) ভিটামিন B12 (কোবালামিন, Cobalamin)

অভাবজনিত রোগ:

• রক্তশূন্যতা (Pernicious Anemia)
• স্নায়ুর ক্ষতি

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• সাধারণত ক্ষতিকর নয়।

৩. ভিটামিন C (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড)

অভাবজনিত রোগ:

• স্কার্ভি (Scurvy) – মাড়ি থেকে রক্তপাত, ক্ষত না শুকানো

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• ডায়রিয়া, কিডনিতে পাথর

৪. ভিটামিন D (ক্যালসিফেরল)

অভাবজনিত রোগ:

• রিকেটস (Rickets) – শিশুদের হাড় নরম হয়ে যায়।
• অস্টিওমালেশিয়া (Osteomalacia) – প্রাপ্তবয়স্কদের হাড় দুর্বল হয়ে যায়।

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমা হওয়া (Hypercalcemia)

৫. ভিটামিন E (টোসোফেরল)

অভাবজনিত সমস্যা:

• পেশি দুর্বলতা
• স্নায়ুর সমস্যা

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• রক্তপাতজনিত সমস্যা (Hemorrhage)

৬. ভিটামিন K (ফাইলোকুইনোন)

অভাবজনিত রোগ:

• রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা (Bleeding Disorders)

অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে:

• রক্ত ঘন হয়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

নিউক্লিক অ্যাসিড

HS 2025 Chemistry Suggestion PDF : জৈব অণুসমূহ চ্যাপ্টারের একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক,যেখান থেকে তোমরা প্রশ্ন পাবেই।

১.নিউক্লিক অ্যাসিড কী?

• নিউক্লিক অ্যাসিড হল একটি পলিমারিক অণু, যা নিউক্লিয়টাইডের দীর্ঘ শৃঙ্খল দ্বারা গঠিত।
• এটি প্রধানত DNA (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) এবং RNA (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) নামে দুই ধরনের হয়।
• কাজ:
  • জিনগত তথ্য সংরক্ষণ
  • কোষ বিভাজন ও বংশগতির তথ্য স্থানান্তর
  • প্রোটিন সংশ্লেষণ

নিউক্লিক অ্যাসিডের গুরুত্ব:

নিউক্লিক অ্যাসিড জীবজগতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জীব অণুসমূহ, যা জিনগত তথ্য সংরক্ষণ, প্রতিলিপি এবং প্রোটিন সংশ্লেষণে ভূমিকা রাখে। নিউক্লিক অ্যাসিড প্রধানত DNA (ডিএনএ) ও RNA (আরএনএ) দুই ধরনের হয়ে থাকে। নিউক্লিক অ্যাসিড মূলত নিউক্লিয়টাইড নামক একক দ্বারা গঠিত হয়, যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে

২. নিউক্লিয়টাইড

নিউক্লিয়টাইড কী?

নিউক্লিক অ্যাসিডের মৌলিক একককে নিউক্লিয়টাইড বলে। প্রতিটি নিউক্লিয়টাইড তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত—

1. নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষার (Nitrogenous Base)
   • পিউরিন (Purine): অ্যাডেনিন (A) ও গুয়ারনিন (G)
   • পিরিমিডিন (Pyrimidine): সাইটোসিন (C), থাইমিন (T) [শুধু DNA], ইউর্যাসিল (U) [শুধু RNA]
2. চিনি (Pentose Sugar)
   • DNA-তে: ডিঅক্সিরাইবোজ (Deoxyribose)
   • RNA-তে: রাইবোজ (Ribose)
3. ফসফেট গ্রুপ (Phosphate Group)
   • নিউক্লিয়টাইডগুলোর মধ্যে ফসফোডাইএস্টার বন্ধন গঠিত হয়, যা DNA ও RNA-র মেরুদণ্ড তৈরি করে।

নিউক্লিয়টাইড গঠনের প্রতিক্রিয়া:
নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষার + চিনির অণু + ফসফেট গ্রুপ → নিউক্লিয়টাইড

৩. নিউক্লিওসাইড

নিউক্লিওসাইড কী?

• নিউক্লিয়টাইডের ফসফেট গ্রুপ ছাড়া অংশকে নিউক্লিওসাইড বলে।
• অর্থাৎ, নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষার + পেন্টোজ চিনির সংমিশ্রণে নিউক্লিওসাইড গঠিত হয়।

নিউক্লিওসাইড গঠনের প্রতিক্রিয়া:
নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষার + চিনির অণু → নিউক্লিওসাইড

উদাহরণ:

• DNA নিউক্লিওসাইড:
  • ডিঅক্সিআ্যাডেনোসিন (Deoxyadenosine) → অ্যাডেনিন + ডিঅক্সিরাইবোজ
  • ডিঅক্সিগুয়ারানোসিন (Deoxyguanosine) → গুয়ারনিন + ডিঅক্সিরাইবোজ
• RNA নিউক্লিওসাইড:
  • অ্যাডেনোসিন (Adenosine) → অ্যাডেনিন + রাইবোজ
  • গুয়ারানোসিন (Guanosine) → গুয়ারনিন + রাইবোজ

৪. DNA (Deoxyribonucleic Acid)

DNA কী?

DNA হল বংশগতির প্রধান ধারক, যা সমস্ত জীবের জিনগত তথ্য বহন করে এবং প্রোটিন সংশ্লেষণের নির্দেশনা দেয়।

DNA-এর গঠন

• ডাবল হেলিক্স (Double Helix) কাঠামো:
  • DNA দুটি পলিনিউক্লিয়টাইড শৃঙ্খল দ্বারা গঠিত, যা ডবল হেলিক্স আকৃতির।
  • জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক (1953)-এর মতে, DNA-এর গঠন একটি মোড়ানো মই-এর মতো।
• বেস পেয়ারিং (Base Pairing) নিয়ম:
  • অ্যাডেনিন (A) → থাইমিন (T) [2 হাইড্রোজেন বন্ধন]
  • গুয়ারনিন (G) → সাইটোসিন (C) [3 হাইড্রোজেন বন্ধন]
• DNA-এর মেরুদণ্ড:
  • DNA-এর প্রধান কাঠামো ফসফেট ও ডিঅক্সিরাইবোজ চিনির বিকল্প শৃঙ্খল দ্বারা গঠিত।

DNA-এর কাজ:

1. বংশগত তথ্য সংরক্ষণ ও স্থানান্তর
2. DNA প্রতিলিপি (Replication) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন DNA তৈরি
3. প্রোটিন সংশ্লেষণে নির্দেশনা প্রদান (Transcription ও Translation)

৫. RNA (Ribonucleic Acid)

RNA কী?

RNA হল একক-শৃঙ্খলযুক্ত (Single-stranded) নিউক্লিক অ্যাসিড, যা DNA থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে প্রোটিনে রূপান্তর করে।

RNA-এর গঠন

• RNA-এর প্রধান উপাদান:
  • নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষার → অ্যাডেনিন (A), গুয়ারনিন (G), সাইটোসিন (C), ইউর্যাসিল (U)
  • চিনির অণু → রাইবোজ (Ribose)
  • ফসফেট গ্রুপ
• DNA-এর সঙ্গে পার্থক্য:
  • RNA একক-শৃঙ্খলযুক্ত, DNA দ্বি-শৃঙ্খলযুক্ত।
  • RNA-তে থাইমিন (T) এর পরিবর্তে ইউর্যাসিল (U) থাকে।

RNA-এর প্রকারভেদ ও কাজ

1. mRNA (Messenger RNA):
   • DNA থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রাইবোসোমে প্রোটিন তৈরির নির্দেশ দেয়।
2. tRNA (Transfer RNA):
   • অ্যামিনো অ্যাসিড বহন করে এবং প্রোটিন সংশ্লেষণের সময় নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড যোগ করে।
3. rRNA (Ribosomal RNA):
   • রাইবোসোম গঠনে সাহায্য করে, যেখানে প্রোটিন সংশ্লেষণ ঘটে।

নোটের বৈশিষ্ট্য

আমি HS 2025 Chemistry Suggestion Pdf-এর ভিত্তিতে এই নোট তৈরি করেছি। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তোমাদের HS 2025 Chemistry Suggestion Pdf অনুযায়ী Group-17 থেকে সম্ভাব্য প্রশ্ন এবং উত্তরও এখানে অন্তর্ভুক্ত।

ভিডিও টিউটোরিয়াল

এই নোটটি আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য পেতে HS 2025 Chemistry Suggestion Pdf সিরিজের নিচের ভিডিওটি দেখো।
📽️ ভিডিও লিঙ্ক: ভিডিওটি দেখুন এখানে

ভিডিওটি লাইক, কমেন্ট, এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলো না।

PDF ডাউনলোড এবং শেয়ারিং গাইড

এই নোটটি সম্পূর্ণ ফ্রি। তবে দয়া করে PDF সরাসরি শেয়ার না করে, পোস্টের শেয়ার অপশন ব্যবহার করে বন্ধুদের HS 2025 Chemistry Suggestion Pdf সিরিজটি সবার
কাছে পৌঁছে দাও। এতে আরও ছাত্রছাত্রী এই নোটের সুবিধা নিতে পারবে।

পরীক্ষার সেরা প্রস্তুতির জন্য কিছু টিপস

1. MCQ প্র্যাকটিস করো: সময় বাঁচানোর জন্য নিয়মিত MCQ প্রশ্নের অনুশীলন করো।
2. লিখে পড়ো: ৫ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে সাজিয়ে লিখে প্র্যাকটিস করো।
3. নিয়মিত রিভিশন: নোট এবং সাজেশন বারবার পড়ো।

HS 2025 Chemistry Suggestion PDF : জীব অণুসমূহ

উপসংহার

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য HS 2025 Chemistry Suggestion PDF অনুযায়ী জীব অণুসমূহ অধ্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, এনজাইম, হরমোন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।

আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন!

🔴 Subscribe My YouTube Channel:
Chemistry with Jana Sir
(তোমাদের chemistry preparation আরও সহজ করার জন্য নিয়মিত ভিডিও দেওয়া হয়।)

🔵 Follow My Facebook Page:
Chemistry with Jana Sir – Facebook
(নোট, সাজেশন এবং পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে এখানেও যুক্ত থাকো।)

📱 Join My Telegram Group:
Join Telegram for Notes & Updates
(নোট ও PDF সরাসরি ডাউনলোড করার সুবিধা।)

তোমাদের মতামত শেয়ার করো!

এই পোস্ট কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাও। বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করতে ভুলো না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে।

পরীক্ষার জন্য শুভকামনা। জয় হিন্দ ✊ বন্দেমাতরম 🇮🇳